Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

  • সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
  • প্রতিষ্ঠাকাল
  • ইতিহাস
  • প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ
  • অন্যান্য শিক্ষকদের তালিকা
  • ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (শ্রেণীভিত্তিক)
  • পাশের হার
  • বর্তমান পরিচালনা কমিটির তথ্য
  • বিগত ৫ বছরের সমাপনী/পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল
  • শিক্ষাবৃত্ত তথ্যসমুহ
  • অর্জন
  • ভবিষৎ পরিকল্পনা
  • ফটোগ্যালারী
  • যোগাযোগ
  • মেধাবী ছাত্রবৃন্দ

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠাতার নামঃ

      ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা পরিবেষ্টিত ধলেশ্বরীর পশ্চিম তীরের চরাঞ্চল যার নাম বক্তাবলী পরগনা। ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন এবং নারায়নগঞ্জ সদর থানাধীন আলীরটেক ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই বক্তাবলী পরগনা। এই বালুকাময় চরাঞ্চল দীর্ঘদিন যাবত ছিল শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত। কারন তরঙ্গ বিক্ষুদ্ধ বুড়িগঙ্গা ধলেশ্বরী নদী পাড়ি দিয়ে নারায়নগঞ্জের কোন এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করা এলাকার দরিদ্র কৃষক সন্তানদের যেমন ছিল কষ্টসাধ্য তেমন ছিল ব্যয় সাপেক্ষ ও ঝুকিপূর্ন। তাই অত্র এলাকা দীর্ঘদিন যাবত

ছিল শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত । এমন নাজুক পরিস্থিতিতে ও কতিপয় অতত্যুাৎসাহী যুবক ধলেশ্বরীর ভয়াল তরঙ্গ উপেক্ষা করে শিক্ষা গ্রহন করেছেন। তবে সংখ্যায় নিতান্তই নগন্য। এহেন পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক     স্তরের শিক্ষার লক্ষ্যে জনাব হাফিজুদ্দীন আহম্মদ ও স্থানীয় কতিপয় বিদ্যুৎসাহী ব্যাক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় লক্ষীনগর জুনিয়র হাই স্কুল প্রতিষ্টিত হয়েছিল যা আর্থিক দৈন্যতার কারনে অচিরেই অবলুপ্তির সম্মুখীন হয়। এসময় এলাকার শিক্ষিত সমাজ যাদের মধ্যে সর্বজনাব মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল খালেক, কাজী আঃ লতিফ, মৌঃ আঃ হামিদ, আবদুস সামাদ, এ,কে, ছিদ্দিকুর রহমান ও মোছলেহ উদ্দিন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন একটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য এবং খোঁজ করতে ছিলেন এমন একজন অর্থশালী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব যিনি এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অকাতরে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। কথিত আছে ‘‘উদ্দেশ্য যাদের মহৎ আল্লাহ তাদের সহায়’’। সত্যই তারা খোজ পেলেন এমন একজন ব্যাক্তিত্ব যিনি এলাকার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসলেন তার সমস্ত সম্পদ ও শক্তি নিয়ে এবং বজ্র কন্ঠে ঘোষনা দিলেন যে, একটি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় সব কিছুই ব্যয় করতে তিনি বদ্ধপরিকর। এই মহৎ প্রান ব্যক্তিই হলেন দানবীর মেছবাহুল বারী। জনাব মেছবাহুল বারীর আশ্বাস বানীকে মূলধন করে ২৭/১১/১৯৫৯ইং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে একটি সাধারন সভা আহবান করা হয়। বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে এলাকার জনগন সভায় উপস্থিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বক্তাবলী ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জনাব কাজী আবদুল লতিফ সাহেব। উক্ত সভায় প্রফেসর গোলাম আযম সাহেব পবিত্র কোরআন এর আলোকে শিক্ষা সম্বন্ধে জনগনকে অবহিত করেন এবং সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় যে, এলাকার কেন্দ্রস্থলে কানাইনগর গ্রাম অবস্থিত বলে দানবীর মেছবাহুল বারী সাহেবের মরহুম পিতা আবদুস ছোবহান সাহেবের নামানুসারে কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ উদ্দেশ্যে ১১ সদস্যের একটি শক্তিশালী ‘‘এড-হক কমিটি’’ গঠন করা হয় এবং ০১/০১/১৯৬০ইং হতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ঘর ও আসরবাবপত্র তৈয়ার করা হয়। বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থা সুসম্পন্ন হলে ২৭/১২/১৯৫৯ইং তারিখের সভায় সর্বজনাব মৌঃ সিরাজুল ইসলাম বি,এ ও মৌঃ মাহবুবুল হক সাহেবকে যথাক্রমে প্রধান শিক্ষক ও ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।

    ১ জানুয়ারী ১৯৬০ইং তারিখ পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং এলাকার দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভুত অজ্ঞানতার অন্ধকার দূরিভূত হওয়ার এক সুবর্ন সুযোগ এলাকার জনগনের সম্মুখে উম্মোচিত হয় এবং ২০১৩ সালে কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্টিত হয়।